কুষ্টিয়া পৌর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এ সময় বিচারক মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলাল তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস বলেন, “ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০দিন এবং একই মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।”
গ্রেপ্তারতরা হলেন- কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯), দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং একই মাদ্রাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলামিন (২৭) ও পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের বিরোধিতার মধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ধরা পড়েছে স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত সোয়া ২টার পর টুপি মাথায় পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুইজন পায়ে হেঁটে এসে বাঁশের মই বেয়ে উঠে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। একই বেদিতে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যও থাকবে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ দিকে ছিল; শুক্রবার রাতের হামলায় ভাষ্কর্যটির ডান হাত, পুরো মুখমণ্ডল ও বাঁ হাতের আংশিক ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ওই ঘটনার পর থেকে দুদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।