যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ১৩ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি সনদ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ডিগ্রি যোগ্যতা–সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিধান উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে হওয়া আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘন করেছেন। তাই আমরা এ মুহূর্তে তাদের ডিগ্রি প্রদান করতে পারি না। হার্ভার্ডের এ সিদ্ধান্তকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও জানিয়েছেন ডিগ্রি পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি হার্ভার্ডের এক বৈঠকে কলা ও বিজ্ঞান অনুষদ থেকে এ বছর ডিগ্রি প্রাপ্তদের তালিকায় থাকা ১৩ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন অনেকে। হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্র সিবিএসকে জানিয়েছেন,ওই বৈঠকে ১১৫ জন অনুষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া সুযোগ মেলে ছাত্রী শ্রুতি কুমারের। তিনি তাঁর বক্তৃতার একপর্যায়ে ওই ১৩ শিক্ষার্থীর কথা তুলে বলেন। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বাক্স্বাধীনতা এবং আইন অধিকারের প্রতি অসহিষ্ণুতা দেখে আমি গভীরভাবে হতাশ। ছাত্রছাত্রীরা এটা নিয়ে কথা বলছেন, শিক্ষকেরা কথা বলছেন। হার্ভার্ড,তুমি কি আমাদের কথা শুনছ?’
অনুষ্ঠান যখন চলছিল,কিছু গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী অনুষ্ঠান বর্জন করে ১৩ শিক্ষার্থীকে সনদ না দেওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় মিছিল করেছেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তালিকায় যুক্ত হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত, লেবানন, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড,মেক্সিকোসহ অনেক দেশ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, এমোরি ইউনিভার্সিটি, ব্রাউন ইউনিভার্সিটি, ইমারসন কলেজ, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে, ইয়েল, হার্ভার্ড, প্রিন্সটন ও মিনেসোটা ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানো হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো