বিশ্ববাজারে গত এক সপ্তাহ ধরেই তেলের দাম কমছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বজুড়ে কূটনীতিকদের তৎপরতা বাড়ার ফলে তেলের বাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আজ সোমবার তেলের দাম ব্যারেল প্রতি প্রায় চার ডলার কমেছে। অন্যদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ১ দশমিক ৮২ ডলার বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১১০ দশমিক ৮৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচারের দাম ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ৪১ ডলার বা ২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ১০৬ দশমিক ৯২ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরু করলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। গত ৭ মার্চ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১৩৯ দশমিক ১৩ ডলারে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে এ সপ্তাহে আরও কমে গেল। এ ছাড়া গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দামেও সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছিল। গত ৭ মার্চে অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৩০ দশমিক ৫০ ডলার হয়েছিল।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে জ্বালানি তেলের দাম এক শ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে গেলে তেলের বাজার খুবই অস্থিতিশীল ও সংবেদনশীল হয়ে উঠবে।