কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ছয় হাজার ৬২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৫ জন।
এ নিয়ে সারা পৃথিবীজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ জনে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৫ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩০ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৮৫ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ছয় হাজার ৭০৮ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪২ জন। এছাড়া সুস্থ হন ১৬ লাখ চার হাজার ৬৯৪ জন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ৮টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে তিন লাখ ২৭ হাজার ৫৩২ জন। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২০৬ জন। এনিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৯৪৬ জন।
তবে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এ পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন এক হাজার ২৪৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৮ জন। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৮৬ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৯১ হাজার ২৬০ জনে।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে একদিনে মারা গেছেন আরও ৫৫৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৫৪ হাজার ১৪৭ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৮১২ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৮ জন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৫৫ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৬৫৬ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন চার কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭২৩ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৫ জন।
একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। এনিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৮৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ২৭০ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ১৫৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়ালো এক কোটি ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৬৬৯ জন।
যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪২ জনের মৃত্যু এবং ৪০ হাজার ১৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো এক লাখ ৬২ হাজার ৬২৪ জনে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় ৬৬৫ জন, তুরস্কে ১৪০ জন, ইতালিতে ১৩৬ জন, স্পেনে ৮৫ জন, ইরানে ১৩৯ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ২৭৮ জন, পোল্যান্ডে ১৮৪ জন, মেক্সিকোতে ২৪৪ জন, জাপানে ২০৫ জন, ভিয়েতনামে ৭১ জন, মালয়েশিয়াতে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।