বর্ষাকালে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার একমাত্র দুঃখ হচ্ছে রাস্তাঘাটের জলাবদ্ধতা। গত ২০-২৫ বছর যাবত এ সমস্যা দক্ষিণখানবাসীর জন্য এটির চরম দুর্দশার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। তাই গত দুই যুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষের একমাত্র দুঃখ এটি। এলাকা মুল সড়কের পাশাপাশি বাড়ী ঘর থেকে বের হওয়ার শাখা রাস্তাগুলো এ সময়ে হাটু সমান পানির নীচে ডুবে আছে। মানুষ জলাবদ্ধতা ঠেলেই প্রতিদিনের কার্যক্রম শুরু করে।
শোনা যায়, এ এলাকার অনেকে বাড়ী থেকে বের হলে দুইটি পোশাক নিয়ে বের হতে হয়। জলাবদ্ধতার এ দুঃখ ঘুচাতে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গত দুই দশক ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেও এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পায়নি। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি আলহ্বাজ হাবিব হাসান একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে সমস্যাটির তাৎক্ষণিক কিছু সমাধান আনার চেষ্টা করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছেন বলে জানান অনেকে।
স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায়, অপরিকল্পিত বাড়ীঘর নির্মাণ এবং পয়োনিস্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এ এলাকার মানুষজন দীর্ঘকাল ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। এ জলাবদ্ধতা বৃষ্টির পানির পাশাপাশি বাসাবাড়ীর ব্যবহৃত পানির জন্যও হয়। সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। এলাকাটির পাশে তুরাগ নদীর অবস্থান হলেও পরিকল্পনার অভাবে এ পানি সেখানে ফেলা যাচ্ছে না। বর্তমানে সিটির অর্ন্তভুক্ত এলাকটির জলাবদ্ধতা নিরসন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের কাজ। তারপরও স্থানীয় এমপি হাবিব হাসানের উদ্যেগে মেয়র মহোদয় কাজ করে যাচ্ছেন।
জানাযায়, জলাবদ্ধতা থেকে দক্ষিনখান বাসীকে বাচাতে এরই মধ্যে মেয়র ও স্থানীয় এমপির নির্দেশনায় পুরাতন ড্রেনেজ বব্যবস্থাগুলো নতুনভাবে পরিস্কার করে জলাবদ্ধ অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। জানাযায়, এই এলাকার মানুষের আহবানে সাড়া দিয়ে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান গত দুই দিন থেকে দক্ষিনখানের পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থার বিভিন্ন উৎস মুখ গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে নালা বা খাল পরিস্কারে উদ্যেগ নিয়েছেন। এরই ধারাবহিকতায় তিনি আজ দক্ষিণ খানের গাওয়াইর ও আশকোনা, মোল্লার টেকসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জনগনকে প্রতিশ্রুতি দেন এলাকার সকল জলাবদ্ধতা নিরসন করতে নিরলশ ভাবে কাজ করে যাবেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে হাবিব হাসান বলেন, আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি কয়েকমাস হলো। আমি জানি এ এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যাটি দুই যুগের। আগের জনপ্রতিধিরা সমস্যাটি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করলে অবস্থা এতটা খারাপ হতো না। কেই সেই খবর নেয়নি, হয়তো মানুষও তাদের কাছে পায়নি। কিন্তু আমি স্থানীয় মানুষ, সবাই পরিচিত। বাড়ী থেকে নোংরা পানির জন্য বের না হতে পারলে সরাসরি আমাকে ফোন দিয়ে বলে ‘ভাই রাস্তার পানির জন্য চলতে পারি না’ এ জাতীয় ফোন গত কয়েকদিন থেকে পাচ্ছি। তাই মনে করছি আমার কিছু করা উচিত। আর অঞ্চলটি সিটির মধ্যে পড়ার এখানে এমপি হিসেবে আমার কিছু করারও নাই। তারপরও যা পারি সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকছি।