লম্বা বিরতির পর মিরপুরে মাশরাফি

মাশরাফি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত মার্চে। ওই সিরিজেই ওয়ানডের অধিনায়কত্বকে বিদায় দিয়েছিলেন। এর পর মার্চে শেষ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। এতদিন ধরে যেটি ছিল মাশরাফির প্রতিযোগিতামূলক শেষ ম্যাচ।

সেই হিসেবে ৮ মাস পর মিরপুরে সবুজ গালিচায় পা রাখলেন তিনি। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলায় পুরো দস্তুর অনুশীলনের লক্ষ্য নিয়েই হাজির হন সাবেক অধিনায়ক। হালকা রানিসহ সব মিলিয়ে ২৪ টি বল করেছেন। দৃঢ় প্রত্যয়ী মাশরাফি এসময় তিনবার স্টাম্পও ভেঙেছেন!

এমনিতে অবশ্য বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু ইনজুরির কারণে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিলেন না। অবশ্য এখনও তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ দলের কেউ তাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে নিতে পারবে। তবে একাধিক দল আগ্রহ দেখালে সেক্ষেত্রে লটারি করা হবে। শোনা যাচ্ছে, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে মুমিনুলের বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও বাকি।

আগে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্টস কাপে খেলার সম্ভাবনা ছিল মাশরাফির। গত ১৮ অক্টোবর মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে রানিংয়ের সময় পায়ে মাশরাফি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। সেই চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় থাকা মাশরাফি আজ প্রথম অনুশীলন করলেন। দুপুর ১২টার পর বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদারকে নিয়ে ট্রেনিং শুরু করেন। একাডেমির সেন্টার উইকেটে ২০-২৫ মিনিটের মতো হাল্কা রান আপে বোলিং করেছেন। এছাড়া কিছু ফিটনেস ট্রেনিং নিয়েও কাজ করেছেন।

তার আগে মাশরাফি কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাছে একক অনুশীলনের অনুমতি নিয়েছেন। বিসিবির অনুমতি পাওয়ার পরই সামাজিক দূরত্ব মেনে আজ থেকে শুরু হয়েছে তার ট্রেনিং।

করোনা কালে ক্রিকেট যখন বন্ধ, তখন বাকিরা অনুশীলনে ব্যস্ত থাকলেও মাশরাফি সেসব ব্যক্তিগত অনুশীলনে যোগ দেননি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি ছিলেন অনেক দিন। প্রাণঘাতী করোনায় ভুগেছেন লম্বা সময়। প্রায় দেড় মাস লড়াইয়ের পর সেরে ওঠেছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here